গত অর্থবছরে সামিট পাওয়ারে আর্থিক ক্ষতি ১৫০ কোটি টাকার বেশি
বিদ্যুৎ খাতের বড় মূলধনী কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেডের ৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বছরজুড়ে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এতে শুধুমাত্র ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কোম্পানির আর্থিক ক্ষতি (ইমপেয়ারমেন্ট লস) হয়েছে ১৫০ কোটি টাকার বেশি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানাগেছে।
কোম্পানির দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সামিট পাওয়ারের পরিচালিত ১৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে বর্তমানে ৭টি পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। বাকি ৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে ৪টি ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। ওই চারটির মধ্যে তিনটি থেকে সরকার বিদ্যুৎ না কেনায় বছরজুড়ে সেগুলোও অকার্যকর ছিল। এতে কোম্পানির বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৯৩০ দশমিক ৫৫ মেগাওয়াট থেকে কমে ২৩৪ মেগাওয়াটে নেমেছে। এরমধ্যে পুরোপুরি বন্ধ থাকা ৭ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কোম্পানির আর্থিক ক্ষতি (ইমপেয়ারমেন্ট লস) হয়েছে ১৫২ কোটি টাকা।
brac epl single inner regular
বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার এই ক্ষতির কারণে আলোচিত অর্থবছরে কোম্পানিটি ভালো মুনাফা তুলতে পারেনি। আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সামিট পাওয়ারের সমন্বিতভাবে কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৪০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে যা হয়েছিল ৩৩৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানির সমন্বিতভাবে নিট মুনাফা কমেছে ২৯৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা বা প্রায় ৮৮ শতাংশ।
মুনাফায় এই বড় পতন হওয়া সত্ত্বেও কোম্পানিটি তাদের বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ বাড়িয়েছে। আলোচ্য অর্থবছরের জন্য বিনয়োগকারীদের সাড়ে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করা হয়েছে। আগের অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।
ঘোষিত লভ্যাংশ ও আলোচ্য অর্থবছরের অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ২৪ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ নভেম্বর।